Header Ads

Header ADS

জিনা ব্যাভিচার ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ। মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী



✍🏻

প্রথমেই বলি, বর্তমানে যেসকল মহিলারা ধর্ষিত হচ্ছে, অনেকটাই তাঁদের(মহিলাদের) নিজের কারণেই হচ্ছে,তাঁরা এমন সব পোশাক পরে রাস্তায় চলাফিরা করছে যে,তাঁদের শরীরের আকার-গঠন প্রকাশ পাচ্ছে, পরপুরুষ তা দেখে আকৃষ্ট হচ্ছে এবং সেই মহিলাকে ধর্ষণ করছে। "পোষাক হয়ে উঠেছে বিপদের কারণ।"তাই বলি হে! মা-বোনেরা ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চাইলে পর্দা করুন-বোরখা পড়ুন।এতেই আপনার ইজ্জত-সম্মান হেফাজতে থাকবে।ইনশাআল্লাহ। এমন সব আঁটোসাটো-টাইট- ফিটিং, ছোট,পাতলা পোশাক পড়বেন না,এমনসব পোশাক পড়ে বাড়ীর বাইরে বেড়োবেন না,যা দেখে পরপুরুষ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।আপনি ঢিলেঢালা মোটা-পুরু পোশাক পড়ুন। বড়ো চাদর দিয়ে মাথা থেকে বুক পর্যন্ত ঢেকে রাখুন৷আর বাড়ীর বাইরে একাকি যাবেন না।সঙ্গে আপনার স্বামী অথবা কোন মাহরাম(যাদের সাথে বিবাহ হারাম) পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে যান।কেননা একাকি থাকলে নেকড়ের পাল আক্রমণ করবে,এই সুযোগে নেকড়েরা আপনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। আপনি যদি হিজাব-পর্দা করা সত্তেও কোন কারণে,কোনো সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে পড়েন তাহলে সেইমুহুর্তে নিম্নের পদ্ধতিগুলি নিজের উপর প্রয়োগ করুন।আশাকরি আপনি ধর্ষণের হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন।যথাঃ
১. ভীত না হয়ে প্রথমেই গা ছেড়ে না দিয়ে মাথা ঠান্ডা রাখুন।
২. ধাক্কা, থাপ্পড়, আঁচড় না দিয়ে পারলে নাক বরাবর ঘুষি দিন, চেষ্টা করবেন ঘুষিটা এমনভাবে দিতে, আঙ্গুল প্যারালাল রেখে লম্বালম্বি ঘুষি। এতে সে কিছুক্ষনের জন্য ব্যালেন্স হারাবে।
৩. পরে জোরে তালি দেওয়ার মতো দুই হাত দিয়ে তার দুই কান বরাবর জোরে থাপ্পড় দিন। এতে সে পুরোপুরি ব্যালেন্স হারাবে।
৪. নিরব থাকবেন না। এতে আত্মভরসায় সমস্যা হবে। যতটা সম্ভব পুরোটা সময় চিৎকার করুন।
৫. কাপড়ে সেফটিপিন থাকলে ঠান্ডা মাথায় সেগুলো খুলে তার গলায় ঢুকিয়ে দিন। এতে সে পুরোপুরি অঙ্গান হয়ে যাবে।
৬. কনুই এর সৎ ব্যবহার করুন। কেননা মার্শাল আর্ট ট্রেনিংয়ে কনুইকে বিশেষ ভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
৭. চুলে চিন পিন থাকলে কৌশলে তার কানের গোড়ায় ঢুকিয়ে দিন।
৮. ধর্ষক যখন উভয়ের কাপড় অপসারনের চেষ্টা করবে সুযোগ বুঝে তার অন্ডকোষে জোরে লাথি মারুন। এতে সে লুটিয়ে পড়বে।
৯. ধর্ষক যখন আপনার দুই হাতের উপর হাত রেখে আপনার মুখের কাছে মুখ আনবে তখন আপনার কপাল দ্বারা তার মুখে আঘাত করুন। এতে তার দাঁত দ্বারা ঠুঁট কেটে যাবে।
১০. একটা বিশ্বাস রাখবেন সৃষ্টিকর্তা ধর্ষকের তুলনায় আপনাকে কমজোড় করে সৃষ্টি করেন নাই। সুতরাং নিজেকে দূর্বল বা নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না।এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি হয়তো ধর্ষকের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।আর আল্লাহর কাছে আশ্রয়,সাহায্য চাইবেন ও উপরিক্ত নিয়মগুলি অনুসরণ করবেন।কেননা ইব্রাহিম(আঃ)এর স্ত্রী বিবি সারা(রাঃ)যখন দুশ্চরিত্র রাজার কাছে ধর্ষণের সম্মুক্ষিণ হন তখন তিনি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন,এবং আল্লাহতা'আলা তাঁকে রক্ষা করেছিলেন।

 সংগ্রহঃ

        আল্লাহর রহমোত ও পাঠকদের দুআ প্রার্থীঃ মুসাররাফ হোসেন।এম.এম(A.U)

Markazul Iman

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.