Header Ads

Header ADS

ঈমান থাকলেই কি তাকে পরীপূর্ণ মুসলিম বলা যাবে?


 ঈমান থাকলেই কি তাকে পরীপূর্ণ মুসলিম বলা যাবে?


☘️☘️ঈমান থাকলেই কি তাকে পরীপূর্ণ মুসলিম বলা যাবে?
.............মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী। ‎




রিজিক

১ঃ বিয়ের সাথে রিজিকের সম্পর্ক আছে। নেক নিয়তে, হারাম থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে শরীয়তসম্মত উপায় অবলম্বন করে বিয়ে সম্পন্ন করলে, রব্বে কারীম রিজিকের সমস্যা দূর করেই দিবেন।
إِن یَكُونُوا۟ فُقَرَاۤءَ یُغۡنِهِمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِ
তারা দরিদ্র হলে, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন (নূর: ৩২)।
২ঃ শুধু বিয়ের সম্পর্ক জোড়া নয়, ক্ষেত্রবিশেষে বিবাহ বিচ্ছেদের পরও রাব্বে কারীম রিজিকে প্রাচুর্য দান করেন।
وَإِن یَتَفَرَّقَا یُغۡنِ ٱللَّهُ كُلࣰّا مِّن سَعَتِهِ
আর যদি উভয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে আল্লাহ নিজের (কুদরত ও রহমতের) প্রাচুর্য দ্বারা তাদের প্রত্যেককে (অপরের প্রয়োজন থেকে) বেনিয়ায করে দেবেন (নিসা: ১৩০)।
৩ঃ অনেক সময় এমন হয়, সব ধরণের চেষ্টার পরও দুজনের মিলমিশ হয় না। জোর করে বিয়ে টিকিয়ে রাখলে, দুজনের জীবনই বিষাদময় ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার আশংকা থাকে। শুধু তাই নয়, বিয়ে টিকিয়ে রাখলে ক্ষেত্রবিশেষে দীন-ঈমান বিনষ্ট হওয়ারও আশংকা থাকে, এমন অবস্থায় তালাক ও বিচ্ছেদের পন্থা অবলম্বন করা জায়েয।
৪ঃ এ আয়াত আল্লাহ আশ্বস্ত করেছেন, বিচ্ছেদের ব্যাপারটা যদি সৌজন্যমূলকভাবে সম্পন্ন করা হয়, তবে আল্লাহ তাআলা উভয়ের জন্য আরও উত্তম ব্যবস্থা করবেন। দুজনকেই আল্লাহ নিজ কুদরতে রিযিকের বন্দোবস্ত করে দিবেন।
৫ঃ প্রথম আয়াতে ছেলের প্রসঙ্গটা প্রাধান্য পেয়েছে। ছেলে ইফফত বা চরিত্র রক্ষার আশায় বিয়ে করলে, আল্লাহ রিজিকের বন্দোবস্ত করে দিবেন।
৬ঃ দ্বিতীয় আয়াতে মেয়ের প্রসঙ্গটা প্রাধান্য পেয়েছে। মেয়ে যদি দীন রক্ষার উদ্দেশ্যে, সব প্রক্রিয়া অবলম্বন করার পর বিবাহ বিচ্ছেদ চায়, আল্লাহ তাকেও না খাইয়ে রাখবেন না। তার সম্মানজনক রিজিকেরও বন্দোবস্ত করে দিবেন। বিশেষ করে, পর্দানশীন হলে, তাদের মনে আশংকা থাকতে পারে। রব্বে কারীম তাকে আশ্বস্ত করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.